ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া চিংড়ী জোনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শ্রমিকের মৃত্যু

চকরিয়া সংবাদদাতা ::
চকরিয়ায় চিংড়ী জোনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বেলাল উদ্দিন নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চারদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এর আগে গত সোমবার উপজেলার চরনদ্বীপে অবস্থিত একটি চিংড়ী ঘেরে সন্ত্রাসী হামলায় সে গুরুতর আহত হয়। নিহত শ্রমিক বেলাল উদ্দিন (৪০) উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে।

নিহত পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, বেলাল উদ্দিন দীর্ঘ সময় ধরে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপে অবস্থিত একই ইউনিয়নের বুড়ি পুকুর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে ছাবের আহমদের চিংড়ী ঘেরে শ্রমিকের কাজ করতো। গত সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ৩ টায় খবর পায় সন্ত্রাসীরা মৎসঘেরে বেলাল উদ্দিনকে মারধর করে তার হাত কেটে দিয়ে মারাত্মক আঘাত করেছে। তাৎক্ষণিক স্বজনরা ছুটে গেলে ঘটনাস্থলে ডুলাহাজারা (২নং ওয়ার্ড) ডুমখালী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫), একই এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান (২৮), ফরিদ আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৬) ও পূর্ব ডুমখালী গ্রামের ছৈয়দ আহমদের ছেলে মনছুর আলম (২৮) সহ আরো ৮/১০ জনকে অস্ত্রসস্ত্র হাতে দেখতে পায়।
এসময় স্ব সশস্ত্ররা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেও জানায় তারা। সবকিছু উপেক্ষা করে স্বজনরা আহত বেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা মারাত্মক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চার দিন পর শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়। পরদিন আজ শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি ডুলাহাজারা আনা হচ্ছিল।

ডুলাহাজারা ডুমখালী এলাকার ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, বেলাল উদ্দিন একজন সহজসরল ব্যক্তি। সে মৎসঘেরে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। ঘটনার আগে চরনদ্বীপে তার কর্মস্থল মৎসঘেরে কাঁকড়া বিক্রির বিষয় নিয়ে ঘেরে কর্মরত এক শিশুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিশুটিকে শাসন করতে গিয়ে মৃদু মারধর করে। পরে বিষয়টি মৎসঘের মালিক ছাবের আহমদ ও লোকজন বসে তার সমাধানও দেয়। পরে ওই ঘটনার সুত্র ধরে শিশুটির স্বজনরা মর্মান্তিক এ হামলা চালিয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে তিনি অবগ

পাঠকের মতামত: